Saturday, September 24, 2016

সেই কল্পনাময়ী নারী..!!

আজ সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টি, কিছু মিষ্টি সমীরণ, একটু নিস্তব্ধতা, কিছু অস্থির অনুভূতির মধ্য দিয়ে আচম্কা তার সঙ্গে এক পলকের দেখা!!
দমকা বাতাসে তার রেশমি চুলের ঢেউ, মায়া ভরা মুখের নির্মল হাসি, যাদু মাখা চোখের অপলক সেই মন কাড়া চাহনি, ছন্দে ছন্দে তার চলে যাওয়া আর পেছন ফিরে একটু চাওয়া---
এ সব কিছুই যেন হরণ করে নিতে বিন্দুমাত্র ব্যর্থ হয়নি আমার ছোট্ট এ হৃদয়টিকে, করে দিয়েছে পাগল আমার এই আমিকে। আমার আমিত্বকে যেন খুঁজে পেলাম আজ নতুন রূপে।
কিন্তু সে কে??? কেনই বা আমার এমন হল??? দেয়ার মতো কোন উত্তর নেই আমার কাছে। কারন সেই মানুষটি যে আমার অচেনা, কিন্তু মনে হয় শত জনমের চেনা!!!!
তবে উত্তরে একটা কথাই বলবো- হয়তো কল্পনাতে তাকেই হৃদয় মন্দিরে লালন করেছি শত স্বপ্নের জাল বুনে বুনে, এঁকেছি তাকে নিখুঁতভাবে কল্পনা করে করে আমার এই হৃদয় ক্যানভাসে।সে যেন আমারই সেই কল্পনাময়ী নারী..!!

আমরা কতোটাই না আধুনিক স্বার্থপর...!!!!

"খোকা, অনেক দিন তোমাকে দেখি না। জানো এখানে একা একা থাকতে আমার খুব কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে কষ্টে আমার বুকটা ফেটে যায়। মনে হয় যেন চোখের পানিই আমার একমাত্র সঙ্গী...
আশা করি, তুমি আমার শেষ ইচ্ছাটা রাখবে। আমি মারা গেলে বৃদ্ধাশ্রম থেকে নিয়ে, আমাকে তোমার বাবার কবরের পাশে কবর দিও। এজন্য তোমাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। তোমার বাবা বিয়ের সময় যে নাকফুলটা দিয়েছিল সেটা আমার কাপড়ের আঁচলে বেঁধে রেখেছি। নাকফুলটা বিক্রি করে আমার কাফনের কাপড় কিনে নিও..!!" :'( :'(

-এভাবে বেদনা ভরা একটি হৃদয়স্পর্শী খোলা চিঠি বৃদ্ধাশ্রম থেকে ছেলের উদ্দেশ্যে লিখেছেন এক বৃদ্ধা মা... :-( :-(

শেষ বয়সে মস্ত ফ্ল্যাটের ঘরের কোণেও জনমদুখী মা-বাবার এতোটুকুও জায়গা মিলে না। ওদের ছুঁড়ে দেয়া হয় প্রবীণ নিবাসনামীয় নরকে। তবুও প্রতিবাদ বাঁধে না; মন অভিশাপ দেয় না। না ছেঁড়া ধন ওরা। তাই চুপ থাকেন...একেবারে চুপ। তবে এ নিষ্ঠুরতা তাদের কেবলই কাঁদায়... এ কেমন নিয়তি? ভাবি আমরা কতোটাই না আধুনিক স্বার্থপর!! :-( :-(



জীবনের কাছে যেন এরা আর হেরে যেতে না পারে...

আমি দেখেছি ক্ষুধার্ত মানুষকে খেতে না পেয়ে ফুটপাতে কাঁদতে অনেক রাত... :-(
আমি দেখেছি অবুঝ শিশুর মুখে খাবার তুলে না দিতে পেরে দুঃখী বাবা-মায়ের বুক ফাটা আর্তনাদ... :-(
আমি দেখেছি দারিদ্রতার সামনে ফুটফুটে ও প্রাণবন্ত জীবন কে হেরে যেতে... :-(
আমি দেখেছি জীবনের কাছে হেরে গিয়ে  মানুষকে অসহায় হয়ে পড়তে... :-(
আমি দেখেছি স্বপ্নকে গলা টিপে হত্যা করে অসহায় মানুষকে বোবা কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে..!! :-( :-(

আসুন না আমরা এদের পাশে দাঁড়াই,  জীবনের কাছে যেন এরা আর হেরে যেতে না পারে, এদের স্বপ্নগুলো যেন আর ধুলিস্মাৎ হয়ে যেতে না পারে!!!!!

মানুষটি ছোট্ট হতে পারে কিন্তু তার স্বপ্ন অনেক বড়...

নিম্নবিত্ত পরিবারে বস্তির ঘন্ধ গায়ে মেখে জন্মালেও, এই ছেলেটি রঙিন স্বপ্ন চোখে মেখে পৃথিবীর আলো প্রথম দেখেছিলো সেদিন...
কিন্তু স্কুল জীবনের দুই-তিন সিঁড়ি পাড় করতে না করতেই স্বপ্ন পূরনের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো পায়ের এক পঁচন ইনফেকশন। জীবন বাঁচাতে তাকে বিসর্জন দিতে হলো বাম পা টি... তাই বলে কি পায়ের সঙ্গে সঙ্গে বিসর্জন দিতে হবে তার সেই রঙিন স্বপ্নগুলোকেও ???? :-( :-(

নাহ!! কখনোই না!!!!!!! কোনভাবেই  তার স্বপ্নের মৃত্যু হতে সে দিবে না!!!!
এইবার স্বপ্নকে বাঁচাতে হবে... স্বপ্নকে বাঁচাতে দুই হাতে তুলে নিলো দুটি স্ক্রেচ যার একটির নাম আত্মবিশ্বাস আর অন্যটির নাম ইচ্ছাশক্তি। এই আত্মবিশ্বাস আর ইচ্ছাশক্তিকে পুঁজি করে স্বপ্ন পূরনের যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য পিঠে একটা ছেঁড়া ব্যাগ ঝুলিয়ে এইভাবে কাঠের স্ক্রেচে ভর করে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মুখে জয়ের হাসি নিয়ে  প্রতিদিন স্কুলে যায় এই ছোট্ট স্বপ্নবাজ সৈনিক।
মানুষটি ছোট্ট হতে পারে কিন্তু তার স্বপ্ন অনেক বড়... আর মানুষ কিন্তু তার স্বপ্নের সমান বড়...!!!

টাকার পেছনে ছোটে স্বপ্ন...

টাকার পেছনে ছোটে স্বপ্ন, আর স্বপ্নের পেছনে মানুষ...

আশ্চর্য্যের ব্যাপার হচ্ছে- টাকাকে স্বপ্ন দিয়ে কেনা যায় কিন্তু স্বপ্নকে টাকা দিয়ে নয়। এজন্যই হয়তো প্রকৃত স্প্নবাজরা সব কিছু বিসর্জন দিতে রাজি কিন্তু স্বপ্নকে নয়। কারন ওরা জানে, স্বপ্নকে বিসর্জন দেয় কাপুরুষরা। ওরা কাপুরুষ হতে চায় না, হতে চায় স্বপ্নের ফেরিওয়ালা..!!

আমাদের মানবতা আজ কোথায়???

"ভায়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায়
গেলে পাবে কেহ..
ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই
দেশেতে মরি..!!"

-আচ্ছা একটু ভাবুন তো...
এই ছোট্ট কোমলমতি অবুঝ বাচ্চাগুলোর কখনো  কি তাদের ভায়ের মায়ের একটুস্ খানি স্নেহ-ভালোবাসা পাওয়ার সুযোগ হয়েছে???
কখনো কি একটু পেট পুরে তিন বেলা দুমুঠো খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে???
কখনো কি সুন্দর একটা জামা পড়ে ঈদ করতে পেরেছে?? :-( :-(

এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর 'না' তে এসেই দাঁড়াবে, কারন এই ছোট্ট বাচ্চাগুলোর এই বয়সে থাকার কথা ছিল বাবা-মায়ের কোলে অথচ আজ পেটের জ্বালায় নেমে পড়েছে তারা আজ জীবন সংগ্রামে...
ইট ভাঙ্গার জন্য তুলে নিয়েছে হাতে হাতুড়ি। ওরা অবুঝ.. ওরা বুঝেনা ওদের ঐ কচি আঙ্গুলে হাতুড়িটা পড়লে আঙ্গুলের কি অবস্থা হবে???? :'( :'(
ওরা শুধু বোঝে,  যে করেই হোক বেঁচে থাকার জন্য পেটে দুটো দানা দিতে হবে!!!
কখনো লেখাপড়া করার স্বপ্ন দেখাতো দূরে থাক্ একটা নতুন জামা পরার জন্য কল্পনা করার সাহসটুকুও পায়নি!!!!

আমাদের মানবতা আজ কোথায়??? একটুও কি মায়া হয় না এই অবুঝ পথশিশুদের জন্য??? একটুও কি ওদের কষ্ট দেখে চোখের কোণে এক ফোঁটা জল আসে না???? :'( :'(
তবে আসুন না, এদের মুখে একটু খানি হাসি ফোঁটাই... এই ঈদে অন্তত আপনি একটা পথশিশুকে একটা নতুন জামা কিনে দিন..!!!



Sunday, September 18, 2016

নীল, মায়া অতঃপর কবিতা-২

"আকাঙ্খা বেঁচে থাকে, না পাওয়ার মাঝে। তাই মাঝে মাঝে পরম চাওয়াকে বিসর্জন দিতে হয় আকাঙ্খাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।  তাতে জীবনের রং এর হয়তো কিছুটা পরিবর্তন হয়, কিন্তু একেবারে ধূসর হয় না।

নীল সম্ভবত মায়াকে পাওয়ার আকাঙ্খাটাকেও এভাবে বাঁচিয়ে রাখতে চায়, না পাওয়ার মাঝে..!!"

নীল, মায়া অতঃপর কবিতা-১

চোখে চশমা পড়ে মায়া। কেন জানি মনে হয় মেয়েটা চশমার ফ্রেমে ওর চোখের সৌন্দর্য্যতাকে ঢেকে রাখতে চায়। সম্ভবত কাউকে সে জানতেই দিতে চায় না যে, ওর চোখের অর্ধশতভাগ সৌন্দর্য্য ওই চশমার ফ্রেমের আড়ালেই লুকিয়ে থাকে। :-) ;-)

মায়ার বাঁকা ধনুকের মতো ভ্রু।  আর কাজল ছাড়া ওর চোখের সৌন্দর্য্য পূনর্তা পায় না- এ কথা বললে সম্ভবত খুব ভুল করা হবে। বরং ওর ঐ মায়াবী দুটি চোখে যদি কাজলকে স্থান না দেয়া হয়, তবে কাজলের নিজস্ব সৌন্দর্য্যতা প্রকাশে অসম্পূর্নতা থাকার সম্ভাবনাটাই যেন একটু বেশি। :-D

হাজারও কথা আছে

"হাজারও কথা আছে এ মনে লুকিয়ে
নিরব অভিমানে যায় শুধু উঁকি দিয়ে..
বলতে যে পারিনা আমি বলতে গিয়ে
এ হৃদয়ে কতো ভালোবাসা তোমায় নিয়ে..
জানতেও চাওনি তুমি; দিয়েছো ফিরিয়ে।।"